নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিনাঞ্চল সহ ছোট ফেনী কুলবর্তি উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিনের প্রচন্ড ঝড় ও বাতাসে প্লাবিত ও ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ী বাতাসে উপড়ে যাওয়ায় গৃহহীন কয়েকহাজার মানুষ।
অন্যদিকে প্রচন্ড বাতাসে গাছ পালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার অধিকাংস অঞ্চল বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে চরএলাহীর দোকানঘর এলাকার এক স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তি জানান,আমাদের আশপাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি বেড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬-৭ফুট উপরে উঠে এসেছে।
এসময় জোয়ারে প্রায় কয়েকহাজার একর ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক শতাধিক মৎস্য খামার পানিতে ভেসে গেছে।
এ বিষয়ে চরএলাহী চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চর ফকিরা চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, মুছাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন,চরহাজারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও চরপার্বতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল জানান, হঠাৎ করে উঠে আসা জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের দক্ষিনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। এত করে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয়রা।উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল ছাড়াও চরহাজারী নদী পূর্ব এলাকার অনেক গুলো ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে এবং চরপার্বতীর মৌলভীবাজার থেকে উত্তর পাসের বিভিন্ন এলাকার অনেক গাছ ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামিরুল ইসলাম এবিষয়ে জানান, জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। আমরা সরেজমিন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল জানান, আমি বিধ্বস্ত বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছি।অবস্থা খুবই নাজুক।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস